শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ইসলামপুরে বন্যার্তদের পাশে এবারও “আমরা ক’জন ফেইসবুক বন্ধু” এর সদস্যরা

জামালপুরের ইসলামপুরে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে, ফেইসবুক ভিত্তিক সংগঠন, আমরা কজন ফেইসবুক বন্ধু। সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য উদ্যোগ নেয় “আমরা ক’জন ফেইসবুক বন্ধু”। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে তাদের উদ্যোগের বিষয়টি। তা দেখে উক্ত সংঠনকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় আরো তিনটি সংঠন, জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল দুর্নীতি বার্তা ডটকম, চট্টগ্রাম হাটহাজারী ফতেয়াবাদের ” বটতলী সেচ্ছায় রক্তদান গ্রুপ ” ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের “কাচামাটিয়া ফেইসবুক সোসাইটি”।
তারা গত ৩১ আগষ্ট জামালপুরের ইসলামপুরের চিনাডুলি ইউনিয়নের ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ৩০০ পরিবারকে নগত টাকা সহ ত্রান বিতরন করেন। ত্রান সামগ্রীর মধ্যে ছিলো, চাল, ডাল, আলু, সেমাই, চিনি, দুধ, সেলাইন। তারা প্রতিটি অসহায় পরিবারের ঘরে ঘরে ত্রান বিতরন করেন। এ সময় উপস্থিত থেকে ত্রান বিতরন করেন, “আমরা ক’জন ফেইজবুক বন্ধু”র সমন্নয়ক রাজন সরকার, দুর্নীতি বার্তার সম্পাদক খাইরুল ইসলাম আল আমিন, ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কাদের, ইসলামী কলামিস্ট আব্দুল বাকী, স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মাকসুদ রেজা পাহলোয়ান (টারজান), ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজাহান শেখ, ঘেরু মেম্বার সহ আরো অনেকেই।
উক্ত ত্রান বিতরনে যারা আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন


মিশর প্রবাসী আব্দুল আওয়াল, কুয়েত প্রবাসী  মোঃ আব্দুর রশীদ, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ শাহাবউদ্দীন, মোঃ শফিকুল ইসলাম, সেলিম হোসাইন ইটালি প্রবাসী সেলিম হোসাইন, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন , লন্ডন প্রবাসী নুরানী পীর সাহেব (সাইফুল) ও তার বোন, দক্ষিন আফ্রিকা প্রবাসী জাহিদ, দুবাই প্রবাসী আলমগীর হোসাইন, আলেক্স এপ্যারেলেস পরিবার।
সেনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, এমপি নাজিম উদ্দীন আহমেদ সাহেবের পুত্র তানবীর আহমেদ সজিব, পুলিশ রুহুল আমিন।
সম্পাদক ও প্রকাশক খাইরুল ইসলাম আল আমিন, ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কাদের, ইসলামী কলামিষ্ট আব্দুল বাকি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাঈদুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ফয়সাল হাওলাদার, গৌরীপুর প্রতিনিধি তোফাজ্জল হোসাইন, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি রাজন সরকার দুর্নীতি বার্তা ডটকম।

হাজী ট্রেডার্স এন্ড ফিসারীজ, মেসার্স আঃ হেকিম সাইকেল হার্ডওয়্যার এন্ড ইলেকট্রোনিক, কলতাপাড়া বাজার, মেসার্স রিপন টেলিকম এন্ড ইলেকট্রোনিক, বিসমিল্লাহ ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড ওয়ার্কসপ, রামগোপালপুর বাসষ্টেশন, গৌরীপুর, ময়মনসিংহ।

শামসুল হুদা খান মানিক গাজীপুর, এহিয়া মনির খুলনা,  আল আমিন, রকি, চায়না , পাপ্পু, রাজন,  আশরাফুল রব্বানি টপি, আলম চেয়ারম্যান ২নংশরিফ পুর ইউনিয়ন জামাল পুর, জাহেদ নোয়াখালী, মনি খুলনা, সাদ রিমাস ও ব্রুনিং রুবেল ও বটতলী সেচ্ছায় রক্তদান গ্রুপ চট্রগ্রাম।

আবুল কালাম, মানিক মিয়া, আব্দুর রহিম, আলামিন, মামুন মিয়া, আতাউর রহমান, মাহবুবুর রহমান মাসুদ, মতিউর রহমান মতি, সিরাজুল তালুকদার কাচামাটিয়া ফেইসবুক সোসাইটি ।
জানা যায়, ২০১৬ সালের আগষ্ট মাসে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইজবুকের কল্যানে দেশী এবং প্রবাসী ফেইজবুক বন্ধুদের সমন্বয়ে ” আমরা ক’জন ফেইজবুক বন্ধু” নামক একটি সংঘটন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের বন্যা কবলিত মানুষদের পাশে।
গত বছরের ন্যায় এবারও বন্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরন করেছে সংঘটনটির পরিচালকগন।  এবারও তারা প্রবাসী ভাইদের সাথে নিয়েই কাজটি করে।  জানাযায়, জামালপুর জেলার বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকার জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল অপরাধ সংবাদ ডট কম সহ বিভিন্ন পত্রিকায় ও টেলিভিশনে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হয়। মিশর প্রবাসী আব্দুল আওয়াল সংবাদ গুলো দেখে তাদের পাশে দাড়াবার জন্য ফেইজবুকের কিছু বন্ধুদের নিয়ে একটি টীম গঠন করে। উক্ত টিমের নাম “আমরা ক’জন ফেইজবুক বন্ধু”। উক্ত টিমের সদস্যরা ছিলেন, মিশর প্রবাসী আব্দুল আওয়াল, ঢাকার বন্ধু এম ডি সুজন, জামালপুর থেকে মো: রাজন সরকার, বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক কল্যান ইউনিয়ন (বসকো)র যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল ইসলাম আল আমীন, জামালপুরের ব্যবসায়ী কে, এম, আশরাফুল রব্বানি টপি সহ আরো কয়েকজন। উক্ত সংগঠনটি ২০১৬ সালের ১৬ই আগস্ট রোজ মঙ্গলবার জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রান বিতরন করেন। ত্রান সামগ্রীর মধ্যে ছিলো চাল, আলু, ডাল, চিড়া, গুড়, সয়াবিন তেল, খাবার সেলাইন।

বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৭

দেখতে চাই চেতনা রাজ পথে - দাবি আদায়ের, নারীর ইজ্জতের মূল্যয়নে, আমার শিশুর নিশ্চত পথচলার, নিশ্চিত জীবনের!!


নাহ---
আর পারছিনা--
আর কতো--
এই কানেযে সইছে না--
এই চোখে আর দেখতে চাইছেনা--
আর একটা শিশুকেও যেনো
এই বরবর্তারর নির্যাতন সহ্য করতে নাহয়!

সহ্যশক্তি হারিয়ে ফেলছি -
এতো দেখন আপনারা,
আপনাদের এতো চেতনা দেখি!
সবই কি ওই ফেইক নিয়মের কর্ম!
কই রাজ পথেতো নামেননা!
প্রতিজ্ঞাও দেখিনা!

আর ঘরে ফিরবোনা--
দাবি আদায়ের আগে আর কিছু শুনবোনা!
আমার সন্তানের চিৎকার কেনো এসমাজের কানে পৌছেনা।
কোনো দুমড়ে পড়া বিবেক চিৎকারে জাগেনা!

লাইক কমেন্টে নয়!
রাজ পথে দেখতে চাই -
ওই অবুঝ শিশুর চিৎকার যেনো সামিল হয়
আমাদের স্লোগানের সাথে!

ফাসি দাও, জনসম্মুখে শীরচ্ছেদ করো,
যেনো আমার পূজার চিৎকারেও ওর চিৎকারকে চিরস্কার করে!

দেখতে চাই চেতনা রাজ পথে -
দাবি আদায়ের,
নারীর ইজ্জতের মূল্যয়নে,
আমার শিশুর নিশ্চত পথচলার,
নিশ্চিত জীবনের!!

দেখবো অপেক্ষায়, দেখা হবেতো রাজ পথে--?

-------তমা

বিকল্প ধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাড়িতে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠককে ‘গণতন্ত্রের সৌন্দর্য’ আখ্যা দিয়ে এই উদ্যোগকে ইতিবাচক বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।


ওই বৈঠক নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এটা খুব ভালো, গণতন্ত্রের শত ফুল ফুটেছে। এটা তো ভালো; এটাকে আমি বলবো, গণতন্ত্রের শত ফুল ফোটা। এটা তো গণতন্ত্রের বিউটি।
“আমি এটাকে বলবো গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে এ মেরুকরণ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।”
বি চৌধুরীর বারিধারার বাড়িতে ওই বৈঠকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটের বাইরে তৃতীয় জোট গড়ার কথা বলে আসা এই রাজনীতিকদের বৈঠকে সরকারের শরিক দল জাতীয় পার্টির এইচ এম এরশাদের ছোট ভাই ও দলটির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদেরও অংশ নেন।
সম্ভাব্য রাজনৈতিক জোট গঠনের এই আলোচনা-উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “নির্বাচনে আদর্শগত বিষয়টি মুখ্য নয়, এখানে অ্যালায়েন্সটা কৌশলগত; সময়ের প্রয়োজনে এবং নির্বাচনে জেতার জন্য.. আমি এটাকেই বলি গণতন্ত্রের বিউটি।
“গ্রুপিং, অ্যালায়েন্স এগুলো হতে থাক। মেরুকরণ হচ্ছে, এটি নির্বাচনকে সামনে রেখে হচ্ছে। এটি একটি ভাল দিক।”
এই বৈঠকে নেতিবাচক কিছু না দেখলেও এর পরিণতি দেখার অপেক্ষায় থাকা কাদের বলেন, তারা তো ওখানে ষড়যন্ত্র করছে না, জোট করছে, তাতে অসুবিধা কী?
“তবে এ অ্যালায়েন্সটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটিই দেখতে হবে। ওটা দেখতে হলে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।"
এর আগে গত ১৩ জুলাই রাতে রবের উত্তরার বাসায় বি চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী, মান্না, সুব্রত চৌধুরীরা এক হয়েছিলেন, যাতে বাগড়া দিয়েছিল পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, “বাধা তো দেওয়া হয়নি; অতি উৎসাহী কেউ করেছে কি না, আমি সেটি জানি না। এ ধরণের কোনো বাধা সরকার বা দলের পক্ষে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে কখনো দেওয়া হয়নি “
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বি চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী ও রব এনডিএফ জোট গঠন করে বিএনপির পদাঙ্ক অনুসরণ করে তারাও ওই নির্বাচন বর্জন করেছিলেন।
তবে বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার পরও নানা নাটকীয়তার পর সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির প্রধান এরশাদ। সংসদের প্রধান বিরোধী দলটির তিনজন সদস্য বর্তমান সরকারে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন।
তবে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলন করে এরশাদ একইসঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে থাকার লজ্জ্বা ঘোঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এর আগেও তিনি মহাজোট ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন; বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি জোটও গঠন করেছেন।
তবে সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ যে মোটেই চিন্তিত নয়, তা স্পষ্ট করেই বললেন ওবায়দুল কাদের, “তারা সরকারে না থাকতে চাইলে চলে যেতে পারেন। তারা স্বেচ্ছায় সরকারে এসেছেন, তারা যেতে চাইলে যাবেন। আমরা এমন কোনো সংকটে পড়িনি যে, তারা চলে গেলে আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে।
“এখন তো কোন মহাজোট নেই, ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে তাদের তিনজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী সরকারে আছেন। এরশাদ সাহেব নিজেও তো প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, পতাকাবাহী গাড়িতে তিনি যাচ্ছেন।”
তবে এরশাদের জাতীয় পার্টি সরকারের অংশীদারিত্ব ছাড়বে বলে মনে করেন না কাদের।
“আমার মনে হয় না… এমন কোনো ইশারা ইঙ্গিত পাইনি যে, তারা সরকার থেকে চলে যাবেন। আমার তো মনে হচ্ছে না।”
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে সরকার বা দলে কোনো আলোচনা এখনো হয়নি। তাহলে আমি কিভাবে প্রতিক্রিয়া দিব? আলোচনা হলে এরপর দিব।”

রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তি দাবিতে চলা আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আগের দাবির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ওপর নিরাপত্তাকর্মীদের ‘হামলার’ বিচারের দাবি যুক্ত করে অনশন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।


আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নিরাপত্তাকর্মীদের ‘হামলার যথাযথ বিচার না পাওয়ার’ অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে মহাখালীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর ভবনের বন্ধ ফটকের সামনে সাত শিক্ষার্থীর এই ‘আমরণ অনশন’ শুরু হয়।
এই সাত শিক্ষার্থী হলেন- আইন বিভাগের কামরুন্নাহার ডানা, আশিক ইশতিয়াক, শেখ নোমান পারভেজ, সাদিয়া আফরিন প্রেমা, ম্যাথমেটিকস ও ন্যাচারাল সায়েন্স বিভাগের আকাশ আহমেদ, ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের ইয়াসিনুর রহমান রনি ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাদ জিয়াউল হাসান।

যার ছত্রছায়ায় কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামি তুফান সরকার বগুড়ায় অপরাধ ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, সেই বড় ভাই মতিন সরকারকে খুঁজছে পুলিশ।



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এক মেয়েকে বাড়িকে থেকে তুলে নিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণের পর মা-মেয়েকে পিটিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় তুফানকে গ্রেপ্তারের পর দুই ভাইয়ের কুখ্যাতির কথা এখন মানুষের মুখে মুখে।
ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে কসাই থেকে পরিবহন মালিক বনে যাওয়া যুবলীগ নেতা মতিন এই ধর্ষণ মামলার আসামি না হলেও তার কুখ্যাতিরও কোনো জুড়ি নেই।
তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হত্যা ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৬ বছর আগের একটি হত্যা মামলায় সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বগুড়ার আদালত। ২০০১ সালের ওই ঘটনায় উজ্জ্বল নামে এক তরুণকে হত্যা করা হয়।
এই মামলায় মতিনককে গ্রেপ্তারে আগে একাধিকবার পরোয়ানা জারি হলেও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উজ্জ্বল হত্যা মামলায় মতিন সরকারের বিরুদ্ধে ২০ জুলাই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আমরা গতকাল সেটা হাতে পেয়েছি।”
তাকে গ্রেপ্তারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। শিগগিরই একটা সুখবর পাবেন।”
তবে গত কয়েক দিনে মতিনকে বগুড়া শহরে দেখা যাচ্ছে না বলে বলে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন। মতিন এখন কোথায় কোথায়- বগুড়ায় চলছে সেই আলোচনা।
বুধবার বেলা ১১টায় এবং বিকাল সাড়ে ৫টায় বাড়ি গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মতিনের ব্যক্তিগত ও ট্রাকমালিক সমিতির অফিস তার বাসাতেই। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বা মহড়া ছাড়া তিনি সাধারণত বাড়ির বাইরে যান না।
তবে তার স্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি ব্যবসায়িক কাজে বাইরে আছেন।
কয়েক দিন আগেও সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মতিনের বাড়িতে তরুণ-যুবাদের ভিড় লেগে থাকত। বুধবার বাড়িতে মতিনের স্ত্রী-সন্তান ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি।
আশপাশের লোকজনও কয়েক দিন ধরে মতিনকে দেখেন না বলে জানিয়েছেন।
শহরবাসীর মুখে মুখে চাপা প্রশ্ন, মতিন কি গা ঢাকা দিয়েছেন? রাজনৈতিক পাড়া বলে পরিচিত শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা এলাকায় লোকজন বলাবলি করছে, মতিন ভারতে পালিয়ে গেছেন।
বগুড়ার চকসূত্রাপুর কসাইপট্টির মজিবুর রহমান সরকারের মেজো ছেলে এই মতিন। মজিবুর মাংস ও চামড়া বিক্রি করে জীবিকা চালাতেন। তার এই বড় ছেলে কয়েক বছর আগে রাজনৈতিক নেতাদের হাত করে জেলা ট্রাকমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শহর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন।
এই সূত্রে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা ও প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে চলাফেরা করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন।
আর তার প্রশ্রয়েই তার পথ অনুসরণ করে বেড়ে উঠেছেন তার ছোটভাই তুফান সরকার। এই মতিন ও শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন শেখ হেলালসহ কয়েকজনের হাত ধরে তুফান নাম লেখান রাজনীতিতে। কয়েক বছর আগে তিনি হন বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক।
২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর চকসূত্রাপুর এলাকার যুবদলকর্মী এমরান খুনের পর তুফানের কুখ্যাতি ছড়াতে থাকে। দিনের বেলা খুন হওয়া এমরানের খণ্ডবিখণ্ড লাশ পাওয়া গিয়েছিল। তুফান ওই মামলার আসামি।
এই হত্যাকাণ্ডের পর তুফান দখল, চাঁদাবাজি, জুয়া ও মাদক ব্যবসায় জড়ান বলে এলাকাবাসী ভাষ্য। তারপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অর্থের সঙ্গে পেয়েছেন রাজনৈতিক মর্যাদাও।
বগুড়ার জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, তুফানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও মারধরসহ ছয়টি মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসী বলছে, প্রাণের ভয়ে অনেক ঘটনায় তুফানের বিরুদ্ধে কেউ মামলা করতে সাহস পায় না। সব ঘটনায় মামলা হলে কয়েকশ হয়ে যেত।
এভাবেই একের এক অপরাধে জড়িয়ে পড়া  তুফান সম্প্রতি বগুড়ার এক কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তির লোভ দেখিয়ে শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এরপর তার স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি দলবল নিয়ে ওই কিশোরী ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধরসহ মাথা ন্যাড়া করে দেন।
ঘটনার জেরে তুফানের মেজো ভাই মতিনের বিভিন্ন অপরাধের খবরও বেরিয়ে আসে গণমাধ্যমে।
ঘটনার পর শুক্রবার বিকালে তুফানসহ ১০ জনকে আসামি মামলা করেন ওই কিশোরীর মা। মামলার পর বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
মামলার আসামি শিমুল ছাড়া সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রকাশনা সম্পাদক কবি সাহিনা হোসেন(তমা) নির্বাহী কমিটির সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায়
"বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পরিষদ" এর মিটিং হয়
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ও "বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পরিষদ"এর পৃষ্ঠপোষক
জনাব মোজাফফর হোসেন পলটু ভাইয়ের বাসায়।
 ১৫ আগসট জাতীয় শোক দিবস পালন,
আলোচনা অনুষ্ঠান ও 'জনক' প্রকাশনা নিয়ে।
মিটিং এ ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পরিষদের সভাপতি জনাব মোঃ মশিউর রহমান,
সাধারণ সম্পাদক জনাব আশরাফ হায়দার,
সহ সম্পাদক জনাব সোহেল আহমেদ রোমেল,
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবি সাহিনা হোসেন,নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ নিরোদি মজুমদার ও মোঃ মিজানুর রহমান।

মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০১৭

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরার’ আঘাতে মঙ্গলবার ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে তিনজন, বান্দরবানের লামায় একজন ও রাঙ্গামাটিতে দুইজন। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর।


 
কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরায় মঙ্গলবার কক্সবাজারে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।।তাদের মধ্যে দুইজন গাছ চাপা পড়ে ও একজন আতঙ্কে মারা গেছে বলে জানা গেছে। গাছ চাপা পড়ে নিহত দুইজন হলেন- চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার পূর্ব ডোমখালীর রহমত উল্লাহ (৫০) এবং একই উপজেলার পূর্ব বড়হেউলা ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার সায়েরা খাতুন (৬০)। অন্যদিকে কক্সবাজার পৌরসভার নুনিয়াচটা আশ্রয়কেন্দ্রে মরিয়ম বেগম (৫৫) আতঙ্কে মারা গেছেন।
 
লামা সংবাদদাতা জানান, বান্দরবানের লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের বৈদ্যভিটায় ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে গাছ চাপায় কেচিং থোয়াই (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে গাছ চাপায় আহত হলে কেচিং থোয়াইকে লামা হাসপাতালে আনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।  কেচিং থোয়াই বৈদ্যভিটার অংবাইথোয়াইয়ের ছেলে। রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার মো. আবু তাহের ঘূর্ণিঝড়ে গাছ চাপায় নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
 
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে বসত ঘরের ওপর গাছ পড়ে রাঙ্গামাটি শহরে স্কুলছাত্রী জাহিদা সুলতানা নাহিমা (১৪) ও হাজেরা বেগম (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে 'মোরা' শুরু হলে শহরের ভেদভেদী ও আসামবস্তী এলাকায় বসত ঘরের ওপর গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়লে গাছ চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই ওই দুজন মারা যান। রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ শওকত আকবর খান ওই দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

"মোরা"র ভয়ে বিড়ালের কোলে হাঁসের বাচ্চা লুকিয়েছে।


গ্রামে একটি কথা প্রচলিত আছে যে বিপদে পড়লে বাঘ ও হরিণে এক ঘাটে জল পান করে। এমনি একটি ছবি ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
 
তবে বাঘ ও হরিণের বদলে এখানে আছে একটি বেড়াল ও হাঁসের বাচ্চা। 
 
বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাত করার পরই ছবিটি বাংলাদেশী ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওয়ালে দেখা যাচ্ছে।
 
তবে জানা গেছে ছবিটি ঘূর্ণিঝড় মোরার সময়কার কোথায় তোলা কিনা এটি নিশ্চিত নয়।
 
ছবিতে দেখা যায়, হালকা হলুদ রংয়ের হাঁসের বাচ্চাটি পরম যত্নে আগলে রেখেছে বেড়াল। যেন বেড়ালটি হাঁসের বাচ্চাটির জন্য পরম নির্ভরতার আশ্রয়।
 
ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করে রেজওয়ানা নুপুর নামে এক নারী লিখেছেন, সব ভাষাতেই ভালোবাসা নিজের মত করেই তার জায়গা খুঁজে নেয়।
 

বুধবার, ২৪ মে, ২০১৭

সরকারের ইতিমধ্যেই অনেক উন্নয়নের সফলতা দেখিয়েছে এবং বড় দুইটা প্রকল্প পদ্মা সেতু ও রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পাদন করলে ২০২১ সাল কেনো? আজীবনেও কেউ এই সরকারকে নামাতে পারবে না বলে মনে করেন আসমানি ঝুমুর।


যুব মহিলা লীগের কনিষ্ঠ ও বলিষ্ঠ নেত্রী আসমানি ঝুমুর।
সে চট্টগ্রাম ৩৯ নং ওয়ার্ডের আহবায়িকা হিসেবে আছে।
শুধু রাজনীতির মধ্যেই তার কার্যক্রম সীমাবদ্ধ নয়।
একই সাথে সমাজ সেবা মূলক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে সে।
মহিলারা রাজনৈতিক দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
তাই সে বিভিন্ন ঘরোয়া মিটিং ও খোলা জায়গায় আলোচনা করে মেয়েদের বুঝান ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল উন্নয়ন মূকল কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন সরকার দেশকে এতো সুন্দর ভাবে পরিচালনা করেনি ও দেশে এতো উন্নয়নের বীজ বোনাতে পারেনি।যা বর্তমান সরকার করেই চলেছে।
ঘরোয়া ও খোলা ময়দানে আলোচনা সভার একাংশ 
সরকারের ইতিমধ্যেই অনেক উন্নয়নের সফলতা দেখিয়েছে এবং বড় দুইটা প্রকল্প পদ্মা সেতু ও রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পাদন করলে ২০২১ সাল কেনো? আজীবনেও কেউ এই সরকারকে নামাতে পারবে না বলে মনে করেন আসমানি ঝুমুর।
তার নিজের কথা বলতে গিয়ে আসমানি ঝুমুর বলেনঃ
"আমি অত্যান্ত সাধারণ মনের একজন মানুষ।
বাস্তবকে ভালবাসি নিবিড় ভাবে ।জগৎ সংসারকে নিয়ে ভাবতে ও ভালোলাগে। আরও ভালোলাগে সকলের সাথে সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করতে।ভালোলাগে নিজের সমাজ বাঙালী সংস্কৃতিকে বুকে জড়িয়ে রাখতে।
ভালোবাসি মা, মাটি, দেশকে ।এজন্যই আমি বিশ্বাস করি
"দেশ আমাকে কি দিলো না ভাবিয়া আমি দেশকে কি দিলাম তাহা ভাবিতে হইবে"
বিশেষ বিশেষ দিবসের রাজপথের সংগ্রামের একাংশ       
তার স্বপ্ন আগামীতে মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে দাড়াঁবার। কারন অসহায় নির্যাতিত নারীদের সহযোগিতা করাই তার মূল লক্ষ।
কারণ অনেক নারীই আজ নির্যাতিত নীপিড়িত ও বঞ্চিত।এছাড়াও হচ্ছে অনেক স্কুল কলেজের ছাত্রী ইফটিজিং এর স্বীকার।কিছু বখাটে ছেলেদের কারনে নারীরা ঠিকমতো রাস্তা ঘাটেও চলাফেরা করতে পারছে না।
আর্ত মানবতার সেবায় অনুদান দেওয়ার একাংশ 
এগুলো নিয়ে উপরোক্ত মহলেও অভিযোগ দিয়েও কোন আশাহতও ফল পাওয়া যায়নি।
তাই সে নিজ দ্বায়িত্বে এসব নির্মুল করার পদক্ষেপ নিতে চাইছে।যদিও তার পথ চলা কঠিন হবে।
তবুও সে এই সকল কাজে পিছিয়ে থাকতে নারাজ।
তার মত এমন উদ্দ্যেগ যদি প্রতি মহল্লায় মহল্লায় হতো তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ আরোও সুন্দর ভাবে দ্রুত সমৃদ্ধশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যেতো।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সন্ত্রাসে জড়িত থাকার কারণ দেখিয়ে কানাডার ফেডারেল কোর্টে দলটির এক কর্মীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন খারিজ হওয়ার কয়েক মাসের মাথায় একই রায় এসেছে ওই আদালতের আরেক বিচারকের কাছ থেকে।

গত ১২ মে প্রকাশিত ওই রায়ে বিচারক সাইমন ফাদারগিল বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে বিচারিক পর্যালোচনার (জুডিশিয়াল রিভিউ) আবেদন নাকচ করেছেন। এখানে আপিলের জন্য যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ পাওয়া যায়নি বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তিনি।
এর আগে মোহাম্মাদ জুয়েল হোসেন গাজী নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মীর দেশটির ইমিগ্রেশন ডিভিশনের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার আবেদন খারিজ করেছিলেন কানাডার ফেডারেল আদালতের বিচারক হেনরি এস ব্রাউন।
অভিবাসন দপ্তরের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল, আবেদনকারী জুয়েল হোসেন গাজী এমন একটি সংগঠনের সদস‌্য, যে দল ‘সন্ত্রাসে যুক্ত বলে মনে করার যৌক্তিক কারণ আছে’। সুতরাং কানাডার ইমিগ্রেশন অ‌্যান্ড রিফিউজি প্রোটেকশন অ‌্যাক্টের (আইআরপিএ) ৩৪(১) এর এফ ও সি ধারা অনুযায়ী তিনি সুরক্ষা পাওয়ার জন‌্য কানাডায় বসবাসের স্থায়ী অনুমতি পাওয়ার যোগ‌্য নন।
কানাডার আইনের ওই ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব‌্যক্তি যদি এমন কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, যে সংগঠন সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ছিল, আছে বা ভবিষ‌্যতে থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ আছে, তাহলে তিনি নিরাপত্তাজনিত কারণে কানাডায় প্রবেশের অনুমতি পাবেন না। 
জুয়েল গাজীর জুডিশিয়াল রিভিউ আবেদনের শুনানি করে অভিবাসন দপ্তরের সিদ্ধান্তই সঠিক বলে গত ২৫ জানুয়ারি রায় দিয়েছিলেন বিচারক ব্রাউন।
একই আদালতের বিচারক ফাদারগিলও জুডিশিয়াল রিভিউ আবেদন খারিজের পিছনে একই কারণ দেখিয়েছেন। তবে ওই বিএনপি নেতার অনুরোধে সাড়া দিয়ে তার নাম প্রকাশ না করে নামের আদ্যক্ষর ‘এস এ’ লেখা হয়েছে রায়ে।   
‘কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন’- এই তথ্য প্রকাশ পেলে বাংলাদেশে তার জীবন নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বে দাবি করে তিনি আদালতের কাছে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
মামলার রায়ে বলা হয়, ‘এস এ’ আদ্যক্ষরের ব্যক্তি ২০০৪ সালে বিএনপির যুব শাখা জাতীয়তাবাদী যুবদলে যোগ দেন। ২০১২ সালে তিনি বিএনপির নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে তিনি কানাডায় এসে রাজনৈতিক আশ্রয় চান।
২০১৬ সালের আগাস্টে ইমিগ্রেশন ডিভিশন তার আবেদনের শুনানি করে ওই দিনই সিদ্ধান্ত জানায়। ‘এস এ’ নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে দাবি করেছেন উল্লেখ করে ইমিগ্রেশন ডিভিশন তাকে কানাডায় প্রবেশের অযোগ্য ঘোষণা করে।
তাদের সিদ্ধান্তে বলা হয়, বিএনপি সন্ত্রাসে ছিল, আছে বা ভবিষ‌্যতেও থাকতে পারে-এমন ধারণা করার যৌক্তিক কারণ আছে। কাজেই বিএনপির সদস্য হিসেবে  ‘এস এ’ ইমিগ্রেশন ও রিফিউজি প্রোটেকশন অ্যাক্ট এর ৩৪ (১) (এফ) ধারা মোতাবেক  কানাডায় প্রবেশের অযোগ্য।
এই বিএনপি নেতার রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করে বিচারক ফাদারগিল বলেন, ইমিগ্রেশন ডিভিশনের পর্যালোচনায় তিনি কোনো ভুল খুঁজে পাননি। কানাডার আইনে সন্ত্রাসের বিস্তৃত যে সংজ্ঞা দেওয়া আছে সেদিক থেকে বিএনপির হরতাল ডাকার উদ্দেশ্য ও ইচ্ছা, হরতালে যে সন্ত্রাস এবং স্বাভাবিক জীবনের বিঘ্ন ঘটেছে এবং এই কাজের (হরতালের)  ফলে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বিএনপির সচেতনতা বিবেচনায় নিয়ে ইমিগ্রেশন ডিভিশন যুক্তিসঙ্গতভাবেই উপসংহারে পৌঁছেছে যে, বিএনপি হচ্ছে একটি সংগঠন যেটি সন্ত্রাসে লিপ্ত ছিল,আছে বা সন্ত্রাসে লিপ্ত হবে।

অর্ধশতক করেছেন তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান, ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তাদের পেছনে ফেলে ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচের সেরা হয়েছেন ৪৫ বলে ৪৫ রান করা মুশফিকুর রহিম। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান অবশ্য দেশের বাইরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয়ের সব কৃতিত্ব দিলেন বোলারদের।

দলের ভীষণ বিপদের সময় ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন মুশফিক। ১ উইকেটে ১৪৩ থেকে ১৭ রান যোগ করতেই নেই তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন। দলের সংগ্রহ দুইশ ছোঁয়ার আগেই নেই সাকিব আল হাসানও। বিপদে আবার হাল ধরলেন মুশফিক। ঠাণ্ডা মাথায় কোনো বাড়তি ঝুঁকি না নিয়ে এগিয়ে নিলেন দলকে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দারুণ এক জুটিতে শেষ করে এলেন ম্যাচ।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুশফিক আবারও জানালেন, চাপের মধ্যে ব্যাটিং করতে ভালো লাগার কথা।
“ওই সময়ে ব্যাটিং উপভোগ করেছি। তবে এই ম্যাচে জয়ের সকল কৃতিত্ব বোলারদের।”
“এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, ওরা তিনশ রানের বেশি করবে। সেখান থেকে বোলাররা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শেষ ১০ ওভারে ভালো করেছে, ওদের কম রানে বেধে রেখেছে। বোলারদের জন্য আমাদের ভালো করা দরকার ছিল। তা করতে পেরে খুশি।”
২৮ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১৫৬। সেখান থেকে তিনশ রান খুব কঠিন ছিল না। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ১০ ওভারে যায় নিউ জিল্যান্ড। ক্রিজে তখন ছিলেন রস টেইলর ও জিমি নিশাম। ব্যাটিংয়ে আসতে বাকি বিস্ফোরক কলিন মানরো। 
শেষ ১০ ওভারে দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৫৩ রান দেন বাংলাদেশের বোলাররা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঠিকঠাক প্রস্তুতির জন্য ত্রিদেশীয় সিরিজকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল বাংলাদেশ। স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি করে জয় নিয়ে ৮ দলের টুর্নামেন্টে খেলতে যাবে তারা। এমন প্রস্তুতিতে খুশি মুশফিক।
“চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য এটা খুব ভালো প্রস্তুতি।… এটা আমাদের জন্য খুব ভালো সিরিজ ছিল। আমি মনে করি, কিছু জায়গা আছে যেখানে আমরা এখনও উন্নতি করতে পারি। আশা করি, সেগুলো ঠিকঠাক করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো কিছু করতে পারবো।”




ইসলামপুরে বন্যার্তদের পাশে এবারও “আমরা ক’জন ফেইসবুক বন্ধু” এর সদস্যরা

জামালপুরের ইসলামপুরে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে, ফেইসবুক ভিত্তিক সংগঠন, আমরা কজন ফেইসবুক বন্ধু। সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতির...