দলের ভীষণ বিপদের সময় ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন মুশফিক। ১ উইকেটে ১৪৩ থেকে ১৭ রান যোগ করতেই নেই তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন। দলের সংগ্রহ দুইশ ছোঁয়ার আগেই নেই সাকিব আল হাসানও। বিপদে আবার হাল ধরলেন মুশফিক। ঠাণ্ডা মাথায় কোনো বাড়তি ঝুঁকি না নিয়ে এগিয়ে নিলেন দলকে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দারুণ এক জুটিতে শেষ করে এলেন ম্যাচ।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুশফিক আবারও জানালেন, চাপের মধ্যে ব্যাটিং করতে ভালো লাগার কথা।
“ওই সময়ে ব্যাটিং উপভোগ করেছি। তবে এই ম্যাচে জয়ের সকল কৃতিত্ব বোলারদের।”
“এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, ওরা তিনশ রানের বেশি করবে। সেখান থেকে বোলাররা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শেষ ১০ ওভারে ভালো করেছে, ওদের কম রানে বেধে রেখেছে। বোলারদের জন্য আমাদের ভালো করা দরকার ছিল। তা করতে পেরে খুশি।”
২৮ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১৫৬। সেখান থেকে তিনশ রান খুব কঠিন ছিল না। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ১০ ওভারে যায় নিউ জিল্যান্ড। ক্রিজে তখন ছিলেন রস টেইলর ও জিমি নিশাম। ব্যাটিংয়ে আসতে বাকি বিস্ফোরক কলিন মানরো।
শেষ ১০ ওভারে দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৫৩ রান দেন বাংলাদেশের বোলাররা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঠিকঠাক প্রস্তুতির জন্য ত্রিদেশীয় সিরিজকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল বাংলাদেশ। স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি করে জয় নিয়ে ৮ দলের টুর্নামেন্টে খেলতে যাবে তারা। এমন প্রস্তুতিতে খুশি মুশফিক।
“চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য এটা খুব ভালো প্রস্তুতি।… এটা আমাদের জন্য খুব ভালো সিরিজ ছিল। আমি মনে করি, কিছু জায়গা আছে যেখানে আমরা এখনও উন্নতি করতে পারি। আশা করি, সেগুলো ঠিকঠাক করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো কিছু করতে পারবো।”
Copyright © Bangladesh News 24 Hours Limited All Rights Reserved
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন