মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৭

দেখুন হুমায়ুন কবিরের কিছু কথন


আমি কোন লেখক নই ……………
আমি সাধারনত সবার লেখনি পড়তে ভালবাসি।তাই মাঝে মাঝে লিখতে ইচ্ছে হয় খুব। তাই
একটু-আধটু লিখতে চেষ্টা করি।

           পৃথিবীটা জীবনের একটা অস্থায়ী ঠিকানা মাত্র।পৃথিবীতে অবস্থানকালে সময়েই জীবনের স্থায়ী ঠিকানা খুজতে হবেই।
সংগ্রহ করতে হবে স্থায়ী ঠিকানায় অবস্থানের প্রয়োজনীয় সম্বল।আর সব কিছুর সন্ধান মিলবে সুন্দরের মধ্যেই...………
আর এই সুন্দর জীবন-যাপন করতে হল,
সব খারাপি গুলোকে বিসর্জন দিতে হবে।
তাহলেই ভালোর সানিধ্য পাওয়া যাবে...…
মনে করেন আপনি একটা ফ্লাটে থাকেন।
পাশের ফ্লাটের মানুষ-জনের সাথে আপনার কোন পরিচয় নেই।
কিন্তু সেই ফ্লাটের সুন্দর একটি বাচ্চা প্রায়ই আসছে আপনার কাছে।আবদার করছে-যাকে বলে জোর করে ভালবাসা কেড়ে নেওয়া।
আপনার অনিচ্ছাকৃত সক্তেও একটু না একটু আদর করতেই হচ্ছে........
অজানতেই বাচ্চাটি কখন আাপনার হৃদয়ের অনেক কাছাকাছি চলে এসেছে আপনি হয়ত বুজতেই পারেন নি।
একদিন হঠাৎ বাচ্চাটি আসলো না। আর আপনার মন বিচলিত হয়ে উঠবে!! মনে প্রশ্ন জাগবে কি হলো??
বাচ্চাটা আসলো না কেন??
ছোট ছোট পায়ের শব্দের জন্য দিলটা উদাস হয়ে থাকবে।
কিন্তু,সে আর এলো না।আপনার প্রবল ইচ্ছা জাগবে বাচ্চাটাকে দেখবার জন্য।
তার সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য। তার পর এক সময় খুজতে বের হবেন উদাসীন ভাবে। হাজির হবেন সেই অচেনা ফ্লাটে। দেখবেন ওখানেও সেই বাচ্চাটি নেই...……
কারন সে এখন মেডিক্যালে মৃতুর সাথে লড়ছে।
তখন মনের অবস্থা কেমন হবে আপনার?
তখন অবাক হয়ে ভাববেন কিভাবে কখন বাচ্চাটি মনের মাঝে জায়গা করে নিল??
নিজের প্রশ্নের উত্তর নিজেই খুজে পাবেন না।
এক সময় ছুটে যাবেন বাচ্চাটি যেখানে আছে। রক্তের অভাবে বাচানো যাচ্ছেনা বাচ্চাটাকে।
বাবা মা পাগলের মত ছুটা ছুটি করছে কাঁদতাছে। মা বাবা কারোর সাথেই রক্তের গ্রুপ মিলছে না...
আপনি দিলেন রক্ত।
আল্লাহর রহমতে বাচ্চাটি বেঁচে উঠল। কোন রকম পরিচয় না থেকেও ঐ বাবা মায়ের সাথে আপনার পরিচয়টা কেমন হবে। ভাবতেই অবাক লাগতেছে তাইনা।
চিরজীবনের জন্য ঐ বাবা মা আপনার কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। প্রান দিয়ে ভালবাসবে......
এই প্রান দেয়া আার এই ভালবাসার পিছনে কে কি কাজ করল?? ঐ বাচ্চাটিকে যে আদর ভালবাসা দিয়েছিলেন?
সেই ভালবাসার টানে মুহূ্র্ষ বাচ্চাটিকে রক্ত দিতে একটু কুন্ঠাবোধ করেন নি। এতো তারই ফল আর এভাবেই সৃষ্টিকে ভালবেসে স্রষ্টার কাছাকাছি যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে যায়। এভাবেই ছোট ছোট প্রেম,ভালবাসা,আদর,সাহায্য,সহযোগিতা,ক্ষমা সৃষ্টি করতে পারে মহা মিলনের অফুরন্ত ফাগুন ধারা।আর এরই বিপরীত হল ছোট ছোট অবহেলা,অনাদর,কলহ,বিদ্বেষ,প্রতি
হিংসা,প্রতিশোধ,ক্রোধ,ঘৃণা,অপমান সৃষ্টি করতে পারে মহাপ্রলয়। কিন্তু কেহই মহাপ্রলয় চায়না,
সবাই চায় মহামিলন। এই মহামিলন কে সন্জীবীত রাখতে, প্রেম ভালবাসার অমৃত সুধা ঢালতে হবে সবার মাঝে জনম জনম।
 তাহলেই জীবন হয়ে উঠবে অমৃতময়। মৃত্যু শোকে সাময়িক ভাবে আমাদেরকে মুহ্যমান করলেও হৃদয়ে ব্যথার প্রলেপ আটতে পারবেনা কখনই। কারন মহান আল্লাহ বলেছেন, ঈমানদার ব্যক্তিগন শোক পাবেনা...
তাই,
চলুন সব কিছু ভুলে সবার মাঝে সবাই থাকবো এক হয়ে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ইসলামপুরে বন্যার্তদের পাশে এবারও “আমরা ক’জন ফেইসবুক বন্ধু” এর সদস্যরা

জামালপুরের ইসলামপুরে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে, ফেইসবুক ভিত্তিক সংগঠন, আমরা কজন ফেইসবুক বন্ধু। সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতির...